যশোরের অভয়নগরে প্রাথমিকের পাঠ্যপুস্তক শতভাগ এলেও মাধ্যমিক স্তরের নতুন পাঠ্যপুস্তক এসেছে ৩১ শতাংশ। যে কারণে মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের নতুন বই উৎসব নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইবতেদায়ির সব এলেও দাখিলের শতভাগ পাঠ্যপুস্তক এখনো আসেনি। দ্রুত সময়ের মধ্যে মাধ্যমিকের ৬৯ শতাংশ পাঠ্যপুস্তক আসবে বলে জানান মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। ২০২২ শিক্ষাবর্ষে উপজেলার প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণির নতুন পাঠ্যপুস্তক বিতরণ শুরু হয়েছে। মাধ্যমিকের ৬৯ শতাংশ পাঠ্যপুস্তক না আসায় বিতরণে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২২ শিক্ষাবর্ষে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির দুই লাখ ৯৬ হাজার ৮৯০ নতুন পাঠ্যপুস্তকের চাহিদা দেওয়া হয়েছিল। ন্যাশনাল কারিকুলাম অ্যান্ড টেক্সটবুক বোর্ড (এনসিটিবি) কর্তৃক ৯১ হাজার ৩৬৫ পাঠ্যপুস্তক পেয়েছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস। দাখিলের ৭১ হাজার ৯৩০ চাহিদা দিলেও একটি পাঠ্যপুস্তকও আসেনি। ইবতেদায়ির চাহিদা মোতাবেক ৪৭ হাজার ২৭০ পাঠ্যপুস্তকের সব এসেছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদ করিম বলেন, চাহিদা মোতাবেক প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণির ২৮ হাজার ৭৫ পাঠ্যপুস্তক এসেছে। অভয়নগরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২৬ ডিসেম্বর হওয়ায় বই বিতরণ বিলম্ব হয়েছে। আজ ২৮ ডিসেম্বর থেকে উপজেলার ১১৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন পাঠ্যপুস্তক বিতরণ শুরু হয়েছে। যাচাই-বাছাইপূর্বক কয়েকটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে বই বিতরণ ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে।

মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘চাহিদা মোতাবেক মাধ্যমিকের ৩১ শতাংশ পাঠ্যপুস্তক পেয়েছি। দাখিলের পাঠ্যপুস্তক আসেনি। ইবতেদায়ির শতভাগ পাঠ্যপুস্তক এসেছে। মাধ্যমিকের ৬৯ শতাংশের মধ্যে ৭৮ হাজার ২০ পাঠ্যপুস্তক পথে রয়েছে, দুই-এক দিনের মধ্যে তা চলে আসবে। বাকি পাঠ্যপুস্তক এনসিটিবির অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রাপ্ত পাঠ্যপুস্তক চলে আসবে। প্রাপ্ত পাঠ্যপুস্তক এলে বিতরণকাজ সম্পন্ন হবে।’ কত দিনের মধ্যে প্রাপ্ত পাঠ্যপুস্তক আসবে এমন প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি।